Tanvir Mokammel
2h 17min Minute's
2020-12-11
PG-13
Drama
খুলনা জেলার রূপসা নদীর পারে কর্ণপাড়া গ্রামে এক ক্ষয়িষ্ণু সামন্ত পরিবারে জন্ম মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের। শৈশবে পিতৃহীন তরুণ মানব বৃটিশ আমলে “অনুশীলন” ও পরে বামপন্থী আন্দোলনে যোগ দেন। কৃষক আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার কারণে এলাকার সবার কাছে ক্রমে “কমরেড মানবদা” নামে পরিচিত ও সম্মানিত হয়ে ওঠেন। দরিদ্র নম:শুদ্র কৃষকেরা ওঁকে ডাকত “কমরেড ঠাকুর” বলে। প্রথমে বৃটিশ সরকার ও পরে পাকিস্তান আমলে জেল-জুলুম নির্যাতন ও নানা সংগ্রামের মাঝে ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ জীবন মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের। ওঁর জীবনের সবচে বড় অর্জন ছিল ডাকাতিয়ার বিলে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের জন্যে হাজার হাজার বিঘা কৃষিজমি উদ্ধার করা। আর সবচে ভয়াবহ অভিজ্ঞতাটা হোল ১৯৫০ সালে রাজশাহীর খাপড়া জেল ওয়ার্ডে জেলবন্দীদের গুলি করে মারার ঘটনাটি, যে ঘটনার তিনি ছিলেন একজন প্রত্যক্ষদর্শী। ১৯৪৭-য়ের দেশভাগের পরে একে একে ভারতে চলে যেতে থাকে মানব মুখোপাধ্যায়ের আত্মীয়-স্বজন ও পুরনো সঙ্গীরা। কিন্তু মানব মুখোপাধ্যায় রয়ে যান ওঁর প্রিয় দরিদ্র মুসলমান-হিন্দু কৃষকদের মাঝে। পাকিস্তানী আমলের শত প্রতিকূলতার মাঝেও সমাজ প্রগতির জন্যে কাজ করে যেতে থাকেন। ১৯৭১ সালে রাজাকাররা মানব মুখোপাধ্যায়কে হত্যা করে। চির অবিবাহিত মানব মুখোপাধ্যায়ের শৈশবে এক প্রেমিকা ছিল। ছিল এক অনুরক্তাও। কিন্তু দেশবিভাগের ডামাডোলের মাঝে হারিয়ে যায় ওঁর বাল্যপ্রেমিকা উর্মিমালা। হারিয়ে কী যায় ! ভাগ্যতাড়িত এক বামপন্থী নেতা এবং ওঁর সময় ও যুগকে নিয়ে ছবির কাহিনী “রূপসা নদীর বাঁকে”।